গণতন্ত্রের বদলে বিজেপি দেশজুড়ে স্পাইগিরি চালাচ্ছে: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মমতা
ফাইল ছবি

গণতন্ত্রের বদলে বিজেপি দেশজুড়ে স্পাইগিরি চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। মন্ত্রী, আমলা, বিরোধীদের নেতা, বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম এবং বিচার বিভাগ, গণতন্ত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোই ভেঙে দিয়েছে। গণতন্ত্রের বদলে দেশজুড়ে স্পাইগিরি চালাচ্ছে বিজেপি।

আজ বুধবার দিল্লিতে তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় মমতা এসব কথা বলেন।

সভামঞ্চে ছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমসহ বিভিন্ন নেতা। তাদের উদ্দেশ করে মমতা বলেন, আমাদের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি চলছে। চিদম্বরমজি, শরদ পওয়ারজির সঙ্গে কথা বলার উপায় নেই। ফোন ট্যাপ করছে। গরিব মানুষকে টাকা দেয়ার বদলে কেন্দ্রীয় সরকার আড়ি পাতায় টাকা খরচ করছে।

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের প্রসঙ্গ দিয়েই মমতা তার বক্তব্য শুরু করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, বিজেপির লোকবল থেকে অর্থবল, সব রকম শক্তিকে পরাস্ত করে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এনেছে। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরাও আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন।

প্রতি বছর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মমতা দলের কর্মীদের জন্য পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বুধবার তৃণমূলের এই নেত্রী সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে কর্মীদের প্রতিদিন আধা ঘণ্টা মিছিল করার কথা বলেন। পেট্রোল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, ভ্যাকসিন না পাওয়ার স্লোগান তুলতে বলেন।

ফোনে আড়িপাতার প্রসঙ্গ টেনে মমতা নতুন স্লোগান তুলে বলেন, পেগাসাস- ফেরোসাস, নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস।

ইসরায়েলভিত্তিক গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এনএসও গ্রুপ’ আলোচিত স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’-এর উদ্ভাবক। ধারণা করা হয়, ২০১৬ সাল থেকে পেগাসাস কখনো ‘কিউ সুইট’, কখনোবা ‘ট্রাইডেন্ট’ নামে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে অত্যাধুনিক স্পাইওয়্যার সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে পেগাসাসকে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এটি সহজেই আইওএস, অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে অনুপ্রবেশ করতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে পেগাসাস ব্যবহার করছে। ২০১৯ সাল থেকে সীমিত পরিসরে এই হ্যাকিং প্রযুক্তি বিক্রি শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোই ছিল এর প্রধান ক্রেতা। সফটওয়্যারটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অনুসন্ধান ও বৈশ্বিক অপরাধ প্রতিরোধের মাধ্যমে হাজারো মানুষকে রক্ষায় সরকারি সংস্থাকে সহায়তার করে তারা।

শেয়ার করুন