করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়াল, শনাক্তের হার বেড়ে ৩২.৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার বিস্তার ঘটেছে গ্রাম পর্যায়েও।
ফাইল ছবি

দেশে গত এক দিনে মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৬ জনে দাঁড়াল।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হারও বেড়েছে। উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮০ জন, যাতে শনাক্তের হার ৩২.৫৫ শতাংশ।গতকাল (তার আগের ২৪ ঘণ্টায়) শনাক্তের হার ছিল ৩১.৫ শতাংশ।

আজ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ হাজার ৭৮০ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ৩২.৫৫ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫.৫৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ৯৫ জন নারী। এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ১৩ হাজার ৭৪ জন ও নারী ৫ হাজার ৯৭২ জন।

নতুন মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৬, রাজশাহীতে ১৮, খুলনা ৪১, বরিশালে ৫, সিলেটে ১, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২ জন ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী এক শিশু। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৯ হাজার ৪৬ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলবে।

শেয়ার করুন