শিল্প-কারখানা খোলার দ্বিতীয়দিনও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চ যোগে কর্মস্থলে ফিরছেন শত শত মানুষ। সোমবার (২ আগস্ট) সকাল হতে কর্মস্থলে ফেরাসহ নানা প্রয়োজনে বিধিনিষেধের মধ্যেও ঢাকার অভিমুখে লঞ্চ ও ফেরি যোগে পদ্মা পারি দিতে দেখা যায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত যাত্রীকে।
গত দুই দিনের চেয়ে ফেরিতে আজ যাত্রী চাপ কমেছে অনেকটা। তবে লঞ্চে আজও যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাংলাবাজার থেকে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পারি দিয়ে শিমুলিয়াঘাটে আসছে প্রতিটি লঞ্চ। এসব লঞ্চে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে জরুরি প্রয়োজন ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। স্বল্পগতির যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। এতে তাদের দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সেখানে বর্তমানে ৩৬টি লঞ্চ ও ৯টি ফেরি যোগে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
শরিয়তপুরের বাসিন্দা গাজীপুরগামী মনসুর বলেন, ‘গতকাল থেকে কারখানা খুলছে। কিন্তু বাড়িতে মা অসুস্থ তাই যেতে পারিনি। আজ যাচ্ছি, অফিস থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে।’
সামাদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘ঘাটে পৌঁছেছি, এখন ঢাকা যাবো কীভাবে বুঝতে পারছি না। বাস বন্ধ, আরও দুই/একদিন গাড়ি চালু রাখতে পারতো।’
আরেক যাত্রী তারেক ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। শত শত মানুষতো আসছে। লঞ্চে তো সবাই আসছে, কিসের করোনা? এখন ঘাটে গাড়ি নাই, আমরা পড়ছি বিপদে।’
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আজ তিনটি রোরো, পাঁচটি মিডিয়াম ও একটি ছোট ফেরি সচল রয়েছে। গত দুই দিনের চেয়ে যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম। তবে যানবাহন পারাপার বেড়েছে।’
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান বলেন, ‘এই রুটে বর্তমানে ৩৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। দুপুর পর্যন্ত চালানোর নির্দেশনা রয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা দেয়া হলে লঞ্চের সময় বাড়ানো হবে। দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে আজও লঞ্চে ঢাকামুখী প্রচুর যাত্রী পদ্মা পারি দিয়ে শিমুলিয়াঘাটে আসছে।’