আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। আজ বুধবার বিকাল চারটার দিকে পরীমনির বনানীর ১২ নম্বর রোডের ১৯/এ নম্বর বাসা ঘিরে রাখে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বলেন, সাদা পোশাকের বেশ কজন ব্যক্তি প্রথমে আমাদের বাসার প্রধান গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে চান। তারা কারা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা পুলিশ।’পরে তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমার ফ্ল্যাটের সামনে এসে দরজা খুলতে বলেন। ভয় পেয়ে বনানী থানায় ফোন করেছি, কিন্তু থানা থেকে কেউ এখনও আসেননি। আমি আমার জীবন নিয়ে খুব শঙ্কিত।
লাইভে দেখা যায়, পরীমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দরজা খোলেন। ততক্ষণে র্যাব বাসার সবার মোবাইল ফোন জব্দ করে। পাশাপাশি পরীমনির লাইভও বন্ধ করে দেয়।
এর আগে গত রোববার রাতে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে মৌসুমী আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। মাদকের মামলায় ইতিমধ্যে দুই মডেলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত জুন মাসের শুরুতেও আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।
পরদিন তিনি সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমনি। ওইদিন দুপুরে পরীমনি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এর কয়েক দিন আগে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে মদ্যপ অবস্থায় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে।