বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কতটা কষ্টের? -এই মুহুর্তে বার্সার সাবেক বনে যাওয়া সুপারস্টার মেসির থেকে বেশি হয়তো বুঝবেন না কেউ-ই। ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ করার আগেও মেসি চাইছিলো বার্সায় থাকতে। কিন্তু ক্লাবের দেনার কারণেই থাকা হচ্ছে না তার। তবে এমন বিদায় চাননি মেসি।
আজ রোববার ন্যু-ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে দর্শকের থেকে শেষ বিদায় নিয়ে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে বিদায় নিতে হবে কখনো ভাবিনি। মনে হয় না কেউই ভেবেছে। চেয়েছিলাম মাঠভর্তি দর্শকের অভ্যর্থনার মধ্যে বিদায় নিতে।
করোনাভাইরাসের কারণে দর্শকহীন মাঠে বিদায় নেন এই ফুটবল সুপারস্টার। নিজের বক্তব্যের সময় কাঁদতে কাঁদতে বললেন, দেড় বছর ধরে মাঠে আমাদের সমর্থকদের পাইনি। তাদের না দেখে বিদায় নিতে হচ্ছে, এই ব্যাপারটাই বেশি কষ্ট দিচ্ছে। তবে আমি এখানে আবার ফিরব, এটা আমার ঘর। আমার সন্তানদেরও আমি কথা দিয়েছি, আমি আবার ফিরে আসব।
তবে শেষবারে ক্যাম্প ন্যু-র হয়ে থাকা মেসিকে দেখতে স্টেডিয়ামটির সামনে ভিড় করেছেন অসংখ্য বার্সেলোনা সমর্থকরা। মেসিও চাইছিলেন না এমন বিদায়। তবে ভক্তদের জন্য বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করা হলে খেলবেন কি না?-এমন প্রশ্নে মেসি বলেন, ‘সমর্থকদের জন্য যে কোনো কিছুই করতে প্রস্তুত আমি।’
লিওনেল মেসি চান সবাইকে সম্মান দেখিয়েই যেভাবে এই ক্লাবে বেড়ে উঠেছে তিনি, তেমনি মানুষও যেন তাকে সেভাবেই মনে রাখুক। পাশাপাশি তার চাওয়া মাঠের মেসিকেও যেন তার সমর্থকসহ সবাই মনে রাখেন।
১৩ বছর বয়সে বার্সোলোনায় পা রেখেছিলো মেসি। আর ২১ বছর পর ক্লাবটা ছেড়ে যাচ্ছে। তবে পুরো ক্যারিয়ারে তার সবথেকে কঠিন মুহুর্ত হিসেবে দেখছেন নিজের অভিষেকটাকে। ‘লএত এত মুহূর্তের মধ্যে কোনো একটি বেছে নেওয়া কঠিন। কত শত দারুণ মুহূর্ত কেটেছে, কিছু কঠিন মুহূর্তও ছিল। তবে একটি বেছে নিতে হলে আমি বলব, আমার অভিষেক। সেখান থেকেই সবকিছুর শুরু, আমার প্রথম স্বপ্ন পূরণ।
নিজের ক্লাবের জন্য যা করেছেন তা নিয়ে মেসি অনেক বেশি গর্বিত। গতবছর ক্লাবকে ছাড়তে চাইলেও এ বছরে চাইছিলেন প্রিয় ক্লাবে থেকে যেতে। কিন্তু ছোট্ট একটা বিবৃতিতে মেসির বিদায়ের কথা জানায় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। ৯৯ শব্দের ওই বিবৃতির মাধ্যমেই ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটেছে বার্সা-মেসির।