আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দ্বারপ্রান্তে তালেবান। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে তালেবানের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, তারা নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেবে এবং গণমাধ্যমেরও সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। সূত্র: বিবিসি।
মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই পুরো আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে তালেবান। তাদের তৎপরতার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আলোচনা হতে থাকে যে, তালেবান ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
১৯৯৬-২০০২ সময়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ছিল তালেবান। তখন ১২ বছরের উপরে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেয়া হতো না। চুরির শাস্তি ছিল হাত-পা কেটে দেয়া। ব্যভিচার করলে পাথর নিক্ষেপ করা হতো।
রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান যে বিবৃতি দিয়েছে তা বৈশ্বিক উদ্বেগকে শান্ত করতে দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, নারীদের একা বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হবে। তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে ও চাকরি করতে পারবে।
কিন্তু তালেবান মুখপাত্রের এই প্রতিশ্রুতির সাথে বাস্তবতার অমিল রয়েছে। যেমন কান্দাহার দখলের পর তালেবান সেখানে ব্যাংকে নারী কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছে যে, এখন থেকে তাদের কাজ পুরুষরা করবে। অন্য এলাকায় নারীদের একা বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। নারীদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তালেবান মুখপাত্র বলেছেন যে, তারা গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে। কিন্তু গণমাধ্যম যেন ‘চরিত্র হনন’ নিয়ে ব্যস্ত না থাকে।