ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকশ মানুষ।
দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) এই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয় ও হোটেল রয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।
এদিকে হাইতির সিভিল প্রটেকশন সার্ভিস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই হাইতির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সামান্থা পাওয়ারকে হাইতিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।