আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে জাতিসংঘের আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগান শরণার্থী
ছবি : ইন্টারনেট

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার একদিন পর বিশ্বের সব দেশকে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি তাদের নির্বাসিত করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের টুইটের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে।

টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বের সব দেশকে আফগান শরণার্থী গ্রহণের আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব টুইট করে লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে’ আফগানিস্তানের ঘটনাগুলো সারাবিশ্ব অবলোকন করছে।

তিনি লেখেন, ‘প্রজন্ম ধরে যুদ্ধ আর কষ্টের কথা আফগানরা জানে। তারা আমাদের পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’ এখনই সহমর্মিতার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি তার টুইট শেষ করেন।

এর আগে আফগান শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে অনুরোধ জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর আগে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় তা নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ। সোমবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রোববার তালেবান আফগানিস্তান দখল পর থেকেই লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়েই যেন জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যেই লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বারবার লোকজনকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ও তারা দেশের জনগণের সেবায় কাজ করবে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।

শেয়ার করুন