বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমি বলবো, এখনও সময় আছে শিক্ষা নেওয়ার। আফগানিস্তানে কী হয়েছে— এটা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেককে কিন্তু হেলিকপ্টারের ডানা ধরে ঝুলতে হবে। আফগানিস্তান থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারছি যে, জনগণের জয় একদিন না একদিন হবেই।
বুধবার (১৮ আগস্ট) কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্যোগে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, দেশের অধিকাংশ জনগণ যাকে সমর্থন করবে, যে দল বা যে আদর্শকে সমর্থন করবে, এটিকে কোনোদিন দাবিয়ে রাখা যায় না। যার জন্যে পৃথিবী সবচেয়ে সর্বশক্তিমান পরাশক্তিকেও আফগানিস্তান থেকে যেতে হয়েছে।
- আরও পড়ুন >> আরব আমিরাতে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেলেন আশরাফ গানি
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক ছিলেন, যিনি সংবিধান সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘গো অ্যান্ড গেট ট্রুপস রেডি।’ তাদের নেতাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) মহাননেতা বলে সম্বোধন করেছিলেন। জীবনে কোননোদিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে কখনও আওয়ামী লীগের নেতা বা তাদের যারা শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো কটূক্তি করেননি। এই ধরনের একজন সাদা মনের মানুষকে আজকে তারা খুনি হিসেবে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করতে চায়। কী দুর্ভাগ্য তাদের, কী দুর্ভাগ্য আমাদের।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সময়ে সেনাবাহিনীর ৪৬তম ব্রিগেডে কর্মরত ব্রিগেড মেজর হাফিজ উদ্দিন দাবি করে বলেন, ওই ঘটনার দিন ভোরে ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল শাফায়াত জামিলসহ আমি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে দেখা করি। তাকে কর্নেল শাফায়াত বললেন, ‘স্যার, প্রেসিডেন্ট হ্যাড বিন কিল্ড।’ জেনারেল জিয়াউর রহমানের রিঅ্যাকশন দেখেন সাচ এ সোলজার। তিনি বললেন, প্রেসিডেন্ট নাই তো কী হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন। আমরা সৈনিক লেট আস আপহোল্ড দি কনস্টিটিউশন, আমরা সংবিধানকে সমুন্নত রাখবো। গো অ্যান্ড গেট ইউর ট্রুপস রেডি।
হাফিজ আরও বলেন, তিন বছর আগে শাফায়াত জামিল মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি একটি বই লিখেছেন, সেখানে এই ঘটনাটির বিবরণ দেওয়া আছে। অবসরপ্রাপ্ত অফিসার হিসেবে কর্নেল শাফায়াত জামিল কোনো রাজনীতিতে জড়াননি, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বলতা ছিল। তারপরও তিনি ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যের এই ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। আমি ক্ষুদ্র ব্যাক্তি, আমার বইতেও এই বিবরণ আছে। আমরা চাক্ষুষ সাক্ষী, তিনি (জিয়া) কী বলেছেন সেদিন।