রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
শনিবার পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলেও তার আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করেননি। তবে তিনি পরীমণির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক কথা বলার অনুমতি দেননি। এরপর বিচারক এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমণির কাছে যান তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন তাকে দেখে পরীমণি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এ সময় পরীমণি আইনজীবী মজিবুর রহমানের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমার জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আপনারা জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব! আপনারা বুঝতেছেন আমার কী কষ্ট হচ্ছে?
এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পরীমণিকে পুলিশ আাদলত থেকে বের করে কারাগারে নিয়ে যায়।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে গত ১০ আগস্ট বনানী থানার মামলায় পরীমণির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম পরীমণিকে এক দিনের রিমান্ড দেন। সে দিনই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রিমান্ড কার্যকর করতে পরীমণিকে নিয়ে যায়।