বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার

ডেস্ক রিপোর্ট

রেমিট্যান্স
ফাইল ছবি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘর থেকে এক লাফে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক শুন্য ৪ বিলিয়ন বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলার।

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে তারল্য সহায়তা পাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে রিজার্ভ এতোটা বেড়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

universel cardiac hospital

তারা জানান, আইএমএফ থেকে ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় গত ২ আগস্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ। যা কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার। বাংলাদেশও এই সহায়তা পেয়েছে। যার ফলে বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এর আগে গত ২৯ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

আইএমএফ তার সদস্য দেশগুলোকে তারল্য সহায়তা হিসেবে এসডিআর বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এসডিআর হলো- বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণের পাঁচটি মুদ্রার একক। বর্তমানে ওই পাঁচটি মুদ্রা রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে আইএমএফ স্বীকৃত। এসডিআর বাস্কেটে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৭৩ শতাংশ মজুদ রয়েছে ইউএস ডলারে। ইউরোয় আছে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চায়না ইউয়ানে ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ, জাপানি ইয়েনে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং পাউন্ড রয়েছে ৮ দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ।

করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি রয়েছে। যে কারণে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর অনেকদিন ধরে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় অপরিবর্তিত ছিল। তবে আমদানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে চলতি মাসে ডলারের দর কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। গত কয়েকদিনে প্রতি ডলারে ৩৫ পয়সা বেড়ে মঙ্গলবার ৮৫ টাকা ১৫ পয়সায় উঠেছে। যে কারণে গত বৃহস্পতিবার ৫ কোটি এবং মঙ্গলবার আরও ৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক লাফে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করলো।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের এসডিআর বরাদ্দ যোগ হওয়ায় কিছু সংযোজন-বিয়োজন শেষে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। সাধারণভাবে ৬ মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো অর্থ থাকলে তা শক্তিশালী বিবেচনা করা হয়।

শেয়ার করুন