জালিয়াতি ও প্রতারণা করে পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মসাতের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার কুশীলব খন্দকার মোশতাক আহমেদের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও নাতি (বাবুর ছেলে) খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
কুমিল্লার ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহবুব খান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ ও খন্দকার মোশতাকের ভাগ্নে খন্দকার জাবির আহমেদ সরোয়ার ৩ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার অপর আসামি ওই সম্পত্তির কেয়ারটেকার নিজাম উদ্দিন জামিনে রয়েছেন। মঙ্গলবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন।
মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহমেদ সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু এবং তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ কানাডায় পলাতক থাকলেও তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি দখলে রাখতে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এরই মধ্যে বাবু বেশকিছু সম্পত্তি জাল দলিল ও ভুয়া স্বাক্ষরে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ কারণে উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তির অংশীদারিত্ব পেতে ৩ জনকে আসামি করে তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় জালিয়াতির অভিযোগ এনে ইশতিয়াক আহমেদ বাবু, ইফতেখার আহমেদ শাদ ও কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিনকে আসামি করা হয়।
সম্পত্তির আরেক ওয়ারিশ কাজী রেহা কবির বলেন, মোশতাক তার নানার পরিবারের সদস্য হলেও আদর্শগত কারণে তাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পলাতক আসামিদের অবিলম্বে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন জানান, আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, আদেশের বিষয়টি বুধবার বিকেলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ বিদেশে পলাতক রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।