টেস্ট ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ে নামলেই সেঞ্চুরি করতে হবে, যেন এমন নিয়ম তৈরি করে ফেলেছেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জো রুট। গত দুই বছরে জো রুটের নামের পাশে যোগ হয়েছে সাতটি টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মধ্যে তিনটি ডাবল। এ বছর ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরি হলো ইংল্যান্ড অধিনায়কের।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজেই এ পর্যন্ত টানা তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকালেন রুট।
এবার হেডিংলি টেস্টের রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে ভারত দল।
আগের দিন ভারতকে ৭৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ৪২২। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসেরই ৩৪৫ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
আর এই লিডে ১২১ রানই জো রুটের। গত পাঁচ ইনিংসে এটি ইংলিশ অধিনায়কের তৃতীয় সেঞ্চুরি, আর এই বছরে ষষ্ঠ।
বিনা উইকেটে ১২০ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার দিন শুরু করা ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দিনের শুরুতে পেসার মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ররি বার্নসের বেলস উড়ে যায়। আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে মাত্র ৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন ররি (৬১ রান)।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান হাসিব হামিদকে ৬৮ রানে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা।
এরপর দাভিদ মালানকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন রুট। উইকেটে নেমেই দারুণ সব শট খেলে দ্রুত গতিতে ইংল্যান্ডের লিড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৫৭ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন রুট। অন্য প্রান্তের মালান ফিফটি করেন ৯৯ বলে।
শামি, বুমরাহ, সিরাজদের তুলোধোনা করে ১৩৮ বলে শতরানের জুটি গড়েন রুট-মালান। চা বিরতির আগে চা বিরতির ঠিক আগে লেগ স্টাম্পের ওপর করা সিরাজের বলে ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে উইকেটকিপার পন্তর হাতে ধরা পড়েন মালান। ১২৮ বলে ৭০ রানে মালান আউট হলে রুটের সঙ্গে জুটি থামে ১৩৯ রানে।
মালান না পারলেও ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান রুট। ১২৪ বলেই ক্যারিয়ারের ২৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি।
এরপর জনি বেয়ারস্টো ২৯ রান করে আউট হন স্লিপে বিরাট কোহলির অসাধারণ ক্যাচে। জস বাটলারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন শামি।
এরপর রুট পরাস্ত হয় জসপ্রিত বুমরাহর বলে। বুমরার অসাধারণ একটি ডেলিভারি রুটের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ১৬৫ বলে ১৪ চারে ১২১ করে সাজঘরে ফেরেন রুট।
পরের ওভারেই জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন মইন আলি (৮)।
অর্থাৎ ৩৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৭৮
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১২০/০) ১২৯ ওভারে ৪২৩/৮ (বার্নস ৬১, হামিদ ৬৮, মালান ৭০, রুট ১২১, বেয়ারস্টো ২৯, বাটলার ৭, মইন ৮, কারান ১৫, ওভারটন ২৪, রবিনসন ০; ইশান্ত ২২-০-৯২-০, বুমরাহ ২৭-১০-৫৮-১, শামি ২৬-৭-৮৭-৩, সিরাজ ২৩-৩-৮৬-২, জাদেজা ৩১-৭-৮৮-২)।