দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে নেই বা বন্ধ রয়েছে—এমন কারখানার সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারদের সংগঠন বিজিএমইএ।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কোনো কারখানা যদি সদস্যপদের নিয়ম পূর্ণ ও ফি জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে সেসব কারখানা আর বিজিএমইএ-এর সদস্য থাকবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজিএমইএ-এর এমন সিদ্ধান্তে এক হাজারের বেশি সদস্যপদ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে নেই এবং সদস্যপদ নবায়ন করছে না, এমন কারখানাকে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বিজিএমইএ’র নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সদস্যপদ নবায়ন না করা কারখানাগুলোকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সদস্যপদ নবায়ন করতে নোটিশ দেওয়া হয়। যারা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সদস্যপদ নবায়ন করবে না, তারা বিজিএমইএ’র সদস্যপদ হারাবেন।
জানা গেছে, বিজিএমইএ’র বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় চার হাজার ৭০০। তবে এর অর্ধেক এখন উৎপাদনে নেই। চলতি বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ঢাকার এক হাজার ৮৫৩ কারখানার মালিক ভোট দেন। আর চট্টগ্রামের ভোটার ছিলেন ৪৬১ জন।
২০০২ থেকে এখন পর্যন্ত বিজিএমইএ’র বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করা, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ধার্য করা চাঁদা না দেওয়া ও কমপ্লায়েন্সের শর্ত পালনে ব্যর্থ হওয়াসহ নানা কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এক হাজার ৬৫৪ প্রতিষ্ঠান সদস্য পদ হারায়। এর মধ্যে শুধু ২০১৪ সালে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৪৫ কারখানার সদস্য পদ হারিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব কারখানা দীর্ঘদিন উৎপাদনে নেই বা বন্ধ হয়ে গেছে এবং যেসব কারখানা মেম্বরশিপ ফি দেয়নি এবং যেসব নিয়ম আছে, তারা পালন করছে না; তাদেরকে সময় দিয়েছি। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যদি তারা নিয়ম পূর্ণ করেন এবং ফি জমা দেন, তাহলে তাদের সদস্যপদ থাকবে। অন্যথায় সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের গত বোর্ড মিটিং এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরে আর কোনো রিভিউ থাকবে না। আমরা যেসব কারখানা উৎপাদনে নেই, সেসব কারখানা মালিকদের ডেকেছিলাম। মিটিংয়ে অনেকেই এসে সময় চেয়েছেন। তাদেরকে ছাড় দিয়েই আমরা সময় বাড়িয়েছি।