তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। তবে তারা শুধু নিজেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন।
স্থানীয় বার্তা সংস্থা খামা প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, বর্তমান আবদুল্লাহর বাড়িতে রয়েছেন হামিদ কারজাই।
তালেবানরা এবার আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিজয় উদযাপন করেনি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মিলিত সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
নারী স্বাধীনতাসহ কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে মডারেট ফেস নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। যদিও তারা বলছে, শরিয়া কাঠামোর বাইরে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু তারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।
বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ও ধর্মীয় নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশন’-এর সঙ্গে আলোচনা মূলত বহির্বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে তালেবানের প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে যাওয়ার পর হামিদ কারজাই, আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলবুদিন হেকমেতিয়ার তালেবান নেতৃত্ব ও উপজাতীয় প্রবীণদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করে যাচ্ছেন।
দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ভবিষ্যতে সরকার গঠনে তালেবানদের পরিকল্পনা অনুসারে তারা ১২ সদস্যের গ্র্যান্ড কাউন্সিল তৈরি করেছেন।
নতুন সরকারে এই তিন রাজনীতিক থাকবেন কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
তালেবানরা এখনও নতুন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সবাইকে নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে বারবার।