বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেই ধারা খালেদা জিয়াও অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আজ সোমবার বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট- পিআইবি আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে মন্ত্রী তার বাসভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গুমের রাজনীতি শুরু হয়েছে’—এর জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া তার ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে সেনা সদস্যসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। কারাগার থেকে ধরে নিয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেবদের মনে রাখা উচিত—জিয়াউর রহমানের হাতে কত মানুষ গুম হয়েছে।’
ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত জিয়া ক্ষমতা দখলের পর যে খুনের রাজনীতি করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বাবু, চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দও রেহাই পাননি। তাই তার দলের নেতাদের মুখে গুম নিয়ে কথা শোভা পায় না।
এর আগে অনলাইন সেমিনারে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের তথ্য উদঘাটনে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু গুটিকতক বিপথগামী সেনা সদস্যই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি, এর পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সময় ঈদের জামায়াতে আওয়ামী লীগের পাঁচ জন সংসদ সদস্যকে হত্যা, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে অভাবের বানোয়াট ছবি প্রচার, পাটের গুদামে আগুন দেওয়াসহ দেশবিরোধী নানা চক্রান্ত এবং দেশের স্বার্থে বাকশাল গঠনের সত্যিকার পটভূমি মানুষের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
একাত্তর-পঁচাত্তরের সময়ের সাংবাদিকরা যারা জীবিত রয়েছেন, তাদের বক্তব্য সংরক্ষণের জন্য এ সময় প্রেস ইনস্টিটিউটকে নির্দেশনা দেন তথ্যমন্ত্রী।
পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, বিশেষ বক্তা হিসেবে ইতিহাসের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, ড. মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।