ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা আসবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় এর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান জানান, সিনোফার্মা থেকে পাওয়া সিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

আজ বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধামন্ত্রী এই তথ্য জানান।

universel cardiac hospital

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোটসহ দুই কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোট টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ এবং বিনামূল্যে প্রদান কাজ চলমান রয়েছে।

করোনার টিকা সংগ্রহে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, করোনার টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সাথেই আমরা যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এর মধ্যে কেবল ভারতের সিরাম ইনিস্টিটিটিউ থেকে সাড়া পাই এবং অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করি। অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা হতে টিকা পাওয়ার কোনো সাড়া পাওয়া যানি। পরবর্তী সময়ে কেবল চিনের সিনোফার্মা ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি হতে সাড়া পাওয়ার সাথে সাথে উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে সিনোফার্মার সাথে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমাঝোতা চুক্তিও হয়েছে।

সরকার দলীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত চার বছর ধরে দেশীয় গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। গত ঈদুল আজহার সময় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭০০টি। আর কোরবানিকৃত পশু ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। অর্থ্যাৎ কোরবানিযোগ্য প্রায় ২৮ লাখ পশু উদ্বৃদ্ধ ছিল।

বিগত ১২ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন পাঁচ গুণ ও ডিমের উৎপাদন চার জুন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

জাতীয় পার্টির সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, নাব্য রক্ষাসহ সামগ্রীক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সগন বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সারাদেশকে সাতটি নদী বেসিনে বিভক্ত করে সমীক্ষা সম্পাদন হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্ণফুলি, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বেসিন ভিত্তিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। পানি প্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা ও যথাযথ পলি ব্যবস্থাপনা কৌশল অনুসরণ করে কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস ও নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ভাঙন রোধ করে টেকসই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত অর্জন সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন