দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানি। আমদানি বাড়ায় বন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই টাকা কমেছে।
এদিকে বন্দর এলাকায় ভিড় করতে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের। অন্যদিকে পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য হওয়ায় বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণ করতে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি অপরাটের হিলি পানামা কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দরের অভ্যন্তর এবং খুচরা বাজারে দেখা যায়, বন্দর অভ্যন্তরে ভারত থেকে সারি সারিভাবে প্রবেশ করছে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক। আমদানি বেশির কারণে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই টাকা করে কমেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে । চলতি সপ্তাহের গেল শনিবার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে।
দাম কমার কারণ হিসেবে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক বাবু বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। আমদানি বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। কাঁচা পণ্যের নিয়মই এটি। আমদানি বাড়লে দাম কমে।
এদিকে হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাকিল বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। যার কারণে আমরা সেখান থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে বিক্রি করছি। দাম বাড়ানোর সুযোগ আমাদের হাতে থাকে না।
কথা হয় হিলি বাজারের সাহাদত ও রকিব নামে দুজন সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, গত কয়েক দিনের থেকে আজ বাজারে পেঁয়াজের দাম একটু কম। দাম কম হলে আমাদের জন্য একটু ভালো হয়।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, এই বন্দরের আমদানি করা সকল পণ্য দ্রুত ছাড়করণে আমরা ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তবে পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই দ্রুত ছাড়করণ করে দেশের বাজারে সরবরাহ করতে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার ভারত থেকে মাত্র ছয়টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। তবে রোববার, সোমবার ভারত থেকে ৬০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকে ১ হাজার ৭৪৬ মেট্টিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।