প্রসঙ্গ : করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণচাঞ্চল্য

সম্পাদকীয়

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। ফাইল ছবি

টানা ১৭ মাস স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর আবারো ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বলে আসছিলাম যে, শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। অন্যথায় শিক্ষাক্ষেত্রে, তথা মনন ও মননশীলতার ক্ষেত্রে একটি বিশাল জেনারেশনাল গ্যাপ তৈরি হবে।

দেশের সকল সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসাগুলোও খোলা হয়েছে। কিন্তু কওমি মাদ্রাসাগুলো খোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। যেমন- ১. যেসমস্ত কওমি মাদ্রাসা খোলা হয়েছে সেগুলো দেশের মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধিত কিনা তা যাচাই করা হলো কিনা? ২. প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন কিনা? এবং ৩. বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস, যেমন- স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শোক দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কী? আমরা আশা করব, এসব প্রশ্নের সদুত্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ের মধ্যে জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।

সবশেষে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, করোনার প্রাদুর্ভাব চলাকালে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে। কেননা শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরছে কিনা, প্রতিষ্ঠানে ঢোকার সময় তাদের শরীরের তাপমাত্রা কত, তারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিদিনই প্রতিবেদন তৈরি করা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন