পৃথিবীর সব দেশেই ই-কমার্সের ব্যবসা রয়েছে। এটা জনপ্রিয় একটা মাধ্যম। আমাদের দেশে ই-কমার্স ব্যবসা নতুন। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যক্তি তাদের অসাধু কার্যকলাপের জন্য ই-কমার্সের ব্যবসা পেছনের দিকে নিয়ে গেলো। নতুন একটা ব্যবসায় মানুষ কাজ করতে পারতো।
সম্প্রতি দেশে কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তাদের ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা এ প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুত অতীতে ডেসটিনি, যুবকসহ এ রকম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা তাদের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় এমন প্রশ্ন উঠেছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পেতে যাতে বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয়, তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।
একইসঙ্গে এ ব্যাপারে ভোক্তাস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি যথাযথ নীতিমালা ও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। আমার জানা মতে, ই-কমার্স নিয়ে দেশে কোনো আইন হয়নি। এটাকে আইনের আওতাভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে যারা এ ধরনের ব্যবসা করবে তাদের কাছ থেকে একটা সিকিউরিটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে তাদের লাইসেন্স দেবে। সেই ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তাদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে।
আশা করব, দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের আস্থা অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। অবশ্য এক্ষেত্রে ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের চটকদার বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ক্রয়াদেশের পণ্য হাতে পাওয়ার আগেই টাকা পাঠানো থেকে ক্রেতাকে বিরত থাকতে হবে।