বিদেশ ভ্রমণে এনডোর্সমেন্ট বা টাকা নেওয়ার পদ্ধতি সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ যত বছরের থাকবে তত বছরের জন্য একসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট করা যাবে। অর্থাৎ যদি কারও পাসপোর্ট এর মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য একসঙ্গে ৬০ হাজার ডলার এনডোর্স করাতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করতে পারবেন না।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক সংশ্লিষ্ট নিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তির অনুকূলে তার পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন আন্তর্জাতিক কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় ও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে এডি ব্যাংককে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে। যেমন, বাৎসরিক সীমা ১২ হাজার মার্কিন ডলার অতিক্রম করতে পারবে না। ভ্রমণ কোটার অব্যবহৃত অংশ পরবর্তী বছরে স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া বিদেশে চাকরি ও ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে কিংবা শিক্ষার জন্য বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদকালীন এনডোর্সমেন্ট করা যাবে না বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে। তবে সম্পূরক কার্ডধারী ব্যক্তি তার ভ্রমণ কোটার আওতায় এ সুবিধা পাবেন।
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট ভ্রমণ পরবর্তী বছরের মধ্যে পড়লে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত একটি কোটা এবং জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে অন্য বছরের কোটা ব্যবহার করতে হবে।
পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় বা নির্ধারণ সুবিধা গ্রহণ করা না হলে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ের ক্ষেত্রে ঘটনাত্তর এনডোর্সমেন্ট করার সুবিধা সার্কুলারে রাখা হয়েছে।
যৌক্তিক কারণে কার্ডের মাধ্যমে ভ্রমণ ব্যয় বাৎসরিক কোটা সীমা অতিক্রম করলে ওই অর্থ গ্রাহকের নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি দ্বারা সমন্বয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ জাতীয় হিসাব না থাকলে পরবর্তী বছরের ভ্রমণ কোটার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার সমন্বয় করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন বৈদেশিক মুদ্রা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে ছাড়করণের সুবিধা বিদেশগামী যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করবে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।