দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে চলছে টিকা ক্যাম্পেইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার টিকাদান কার্যক্রম
করোনার টিকাদান কার্যক্রম। ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ক্যাম্পেইনের আওতায় ৭৫ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। সকাল নয়টা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে টিকার ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার পর রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে টিকা নিতে মানুষের লাইন দেখা যায়।

হাসপাতালটির তথ্যমতে, সকাল নয়টা থেকেই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারাদিনে এখানে ৯০০ ডোজ টিকা প্রয়োগের টার্গেট রয়েছে। সবাইকেই মর্ডানার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি কেন্দ্রে টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত সব কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলবে। একইভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতেও চলবে এই কার্যক্রম।

এদিকে, দক্ষিণ সিটিতে সকাল নয়টা থেকে টিকাদান শুরু হলেও উত্তর সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার ও পরের দিন বুধবার প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে মোট ১ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।

আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কেন্দ্রে ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এদিন টিকা গ্রহীতাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবমিলিয়ে এই কার্যক্রমে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট ৫২ হাজার ৫০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

টিকা কার্যক্রম নিয়ে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগ হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য দিনের নিয়মিত ৫ লাখ টিকা প্রয়োগও চলবে।

তিনি জানান, টিকা নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকাকার্ড সঙ্গে আনতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নের কোনো একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারাদেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।

খুরশীদ আলম বলেন, ক্যাম্পেইনে আমরা শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেব এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেব। আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে। শেষ টিকা দেওয়ার পর আমাদের টিম এক ঘণ্টা অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে টিকা দেওয়া হবে।

ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে ডা. আবুল বাসার বলেন, তবে স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনব না।

শেয়ার করুন