বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে যারা হলে উঠেছে এবং বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ চালু করেছে তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
আজ শনিবার (০২ অক্টোবর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক জরুরি সভায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত যারা হলে প্রবেশ এবং অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় অন্যান্যের মতো উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিভিন্ন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা।
পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের যেসব আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও SOP (Standard Operating Procedure ) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/গনন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনাসাপেক্ষে একই শর্তে যত দ্রুতসম্ভব অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়।
তবে এর মধ্যে শুক্রবার দুপুরে তালা ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে প্রবেশ করে শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের ভাষ্য, করোনার সময় হল বন্ধ থাকায় অনেকে মেসে সিট নেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ৫ অক্টোবর থেকে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই কয়েক দিনের জন্য মেসে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা বাঁচাতেই হলে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।