নতুন মহাসচিবের খোঁজে নামছে জাতীয় পার্টি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া দলটিতে দুই বছরেরও বেশি সময় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তার মৃত্যুর পর শূন্য এই পদটিতে কাকে বসানো যায়, এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে পার্টির অন্দরমহলে।
দলটির নেতাকর্মীরা চান দুঃসময়ে জাতীয় পার্টির পাশে থাকা ত্যাগী, পরীক্ষিত, বিশ্বস্ত এবং কর্মী-বান্ধব এমন একজনকে মহাসচিব পদে দেখতে। পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরও এমনটাই চান বলে জানা যায়।
এক মাসেরও বেশি সময় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যান জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তার মৃত্যুর কারণে দলটি তিন দিনের শোক কর্মসূচি পালন করছে। এর অংশ হিসাবে রোববার জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে কুরআনখতম, দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর আকস্মিক মৃত্যুতে নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায়ও আগামী দিনে দলের মহাসচিব কে হচ্ছেন, তা নিয়ে ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ (১) ক উপধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একমাত্র চেয়ারম্যানই একচ্ছত্র ক্ষমতাবলে নিয়োগ দেবেন মহাসচিব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহাসচিব হতে পারেন-এমন অন্তত এক ডজন নেতার নাম রয়েছে পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাতে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপা।
এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১৯ বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা আগে একবার মহাসচিব ছিলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করেন। অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এখনো ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অতিরিক্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা সাইদুর রহমান টেপাও আছেন সম্ভাব্য মহাসচিবের তালিকায়।
জানতে চাইলে সাইদুর রহমান টেপা বলেন, ‘মহাসচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়রের বিধান জাতীয় পার্টিতে নেই। এক্ষেত্রে পার্টি চেয়ারম্যান তার ক্ষমতাবলে যে কাউকে মহাসচিব করতে পারেন।’