সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৩ সালে শিরোপা জয়ের পর লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ফাইনাল খেলেছেন মাত্র একবার (২০০৫ সালে)। ২০১২ সালের পর প্রতিবার গ্রুপপর্বেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। আজ নেপালকে হারাতে পারলেই ১৬ বছর পর ফাইনালে উঠতে পারত অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। কিন্তু বিতর্কিত ফাউলে এবারও শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হল জামাল-জিকোদের।
বুধবার মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয়। যদিও ম্যাচের নবম মিনিটে গোল করে ৮৬ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষটা হয় হতাশার ও বিতর্কিত!
নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের। ফাইনালের লক্ষ্যে দারুণ ভাবে এগোচ্ছিলও জামাল-জিকোরা। চার পরিবর্তনের ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সুমন রেজা সুযোগ কাজে লাগান শতভাগ। ম্যাচের নবম মিনিটে তার হেডে দারুণ ভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ড্রতেই শেষ করতে হয় ম্যাচ।
শিরোপার লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ ৮০ মিনিটে পরিণত হয় ১০ জনের দলে। উইঙ্গার রাকিবের ‘ছেলেমানুষি’ ভুলের খেসারত দিতে হয় গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে। বাতাসে ভাসিয়ে মাঝমাঠ থেকে রাকিবের ব্যাকপাস ঠেকাতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হাতে লাগে জিকোর। তাতেই লাল কার্ড দেখেন মাঠের বাইরে চলে যান জিকো। তবে একজন কম থাকলেও দারুণ ভাবে প্রতিহত করছিল নেপালের সব আক্রমণ।
কিন্তু ম্যাচের ৮৬ মিনিটে রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ডি বক্সের ওপর ভেসে আসা বলে নেপালি ফরোয়ার্ডকে পুশ করেছিলেন সাদ। কিন্তু সেটি ফাউল ছিল কিনা, সেটি নিয়েই বিতর্ক। মুহুর্তেই পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ৮৮ মিনিটে ম্যাচ ড্র করে কাঙ্ক্ষিত ফাইনালে ওঠে নেপাল।
চলতি সাফে গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকাকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে ড্র করে স্বপ্নের পথেই হাটছিলেন অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা। এরপর মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোল ব্যবধানে হারলে সেই আশায় ছেদ পরে। তবে এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না জামাল-জিকোদের স্বপ্ন। হিমালয়ের দেশ নেপালকে হারাতেই হত বাংলাদেশের। কিন্তু বেদনাদায়ক ড্রতে আসর শেষ হল চতুর্থ অবস্থানে থেকে। আর প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল নেপাল। রাতে অন্য ম্যাচে ফাইনালে উঠতে ভারতের প্রয়োজন জয় আর স্রেফ ড্র করলেই চলবে স্বাগতিক মালদ্বীপের।