বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেছেন, ‘উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ডুবে যাওয়া ফেরির ওজন অনেক বেশি। প্রত্যয় জাহাজ দিয়েও সেটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ দিয়ে যানবাহন উদ্ধার শেষে ফেরি উদ্ধারে যা যা প্রয়োজন তার সব করা হবে। এছাড়া উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এখন যে কয়টি ট্রাক ডুবন্ত আছে, সেগুলো উদ্ধার করা একটু জটিল। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে সবগুলো যানবাহন উদ্ধার করা হবে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফেরি ডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেরি উদ্ধারে একটু সময় লাগবে। কারণ নিচে কাটতে হবে। আগে যানবাহনগুলো উঠানো হবে। তারপর ফেরি উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। ফেরি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর সক্ষমতা না থাকলে দেশের অন্য সক্ষমতাকে ব্যবহার করা হবে। এজন্য যা যা প্রয়োজন সব করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। এ দিন দুপুর পর্যন্ত একটি ট্রাক তুলতে সক্ষম হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
উদ্ধারকাজে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীসহ পাঁচটি সংস্থা কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ১০টি কার্ভাডভ্যান-ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রো রো ফেরি আমানত শাহ পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আসার পর কাত হয়ে ডুবে যায়। এ সময় তিনটি ট্রাক নামতে সক্ষম হলেও অন্য যানবাহনগুলো নিয়েই ডুবে যায় ফেরিটি।