অর্থের জন্য পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখপুত্রকে!

বিনোদন ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতা বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। প্রচুর অর্থ তার। সেই অর্থের জন্যই নাকি ছেলে আরিয়ান খানকে সুপরিকল্পিতভাবে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে এমনই দাবি করেছেন বিজয় পাগোড়ে নামে এক সাক্ষী। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সুনীল পাটিল নামে এক এনসিপি নেতার নামও ফাঁস করেছেন তিনি।

শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ানকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা সুনীল পাটিল। এদিকে, সাক্ষী বিজয়কে জেরা করার সময় তিনিও সুনীলের নাম বলেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু পুলিশের কাছে কী জানিয়েছেন তিনি?

universel cardiac hospital

মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা বিজয়ের দাবি, ২০০৮ সালে কিছু কাজের জন্য সুনীলকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। টাকা আদায়ের জন্য সুনীলকে অনুসরণ করা শুরু করেন। সুনীলের সঙ্গে তিনি আহমেদাবাদ, সুরত এবং মুম্বাই গিয়েছিলেন।

বিজয়ের আরও দাবি, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নভি মুম্বাইয়ের এক হোটেলে ছিলেন সুনীল। ওই হোটেলেই এই ঘটনার আর এক সাক্ষী কে পি গোসাভির নামেও একটি ঘর বুক করা হয়েছিল। প্রমোদতরীতে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালী।

বিজয়ের কথায়, ‘আমি তখন ওই হোটেলেই ছিলাম। তাদের তিনজনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। এমনকি সুনীলকে চুম্বন করার পর মণীশকে বলতে শুনেছিলাম, বড় কাজ হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। তবে পাগাড়েকে সঙ্গে নিও না।’ কী ঘটতে চলেছে সেটা অনুমান করতে পারছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন বিজয়।

তিনি বলেন, ৩ অক্টোবর ফের নভি মুম্বাইয়ের সেই হোটেলে আসেন সুনীল। তার সঙ্গে দেখা করে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার পরই তারা দুজনে এনসিবির কার্যালয়ে যান। রাস্তাতেই সুনীল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন তিনি পূজা, স্যাম এবং ময়ূর নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করেন।

তার কথায়, ‘এনসিবি কার্যালয়ে পৌঁছাতেই দেখি সেখানে সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। তার পরই শুনতে পাই আরিয়ান খানকে আটক করেছে এনসিবি। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখতে পাই যে, আরিয়ানকে ঘিরে নিয়ে আসছেন মণীশ এবং গোসাভি। তখনই বিষয়টি আমার কাছে পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত ঘটনা।’

বিজয়ের দাবি, তিনি আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি। বিজয় বলেন, ‘প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল আমাকে বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব। ব্যাস, ওইটুকুই। পরে বুঝলাম কাজটা কী ছিল এবং কীভাবে টাকা এসেছিল।’

গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান ও তার বন্ধুদের আটক করে এনসিবি। দীর্ঘ সময় জেরার পর পরের দিন তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত দুই দফা শুনানির পর ৮ অক্টোবর তাদের সবাইকে পাঠানো হয় জেলে। গত ২৮ অক্টোবর আরিয়ান, তার বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা মুম্বাই হোইকোর্ট থেকে জামিন পান। কারামুক্ত হন ৩০ অক্টোবর।

শেয়ার করুন