আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গী হিসেবে সেমিফাইনাল জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড দল। আর তাতেই সেরা চারে উঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ভারতের। একইভাবে বাদ পড়েছে ক্রিকেটের উদীয়নমান শক্তিশালী দল আফগানিস্তানও।
চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ঝামেলায় পড়ে ভারত। এরপর টানা দুই ম্যাচ জিতে সেমিতে উঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন বিরাট কোহলিরা। কিন্তু তাতে ছিলো জটিল সমীকরণ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড হারলেই কেবল সেই সমীকরণ সামনে আসতো। সেটা আর হতে দিল না কেইন উইলিয়ামসন বাহিনী।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিউই পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান। অ্যাডাম মিলনের বলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মাত্র ৪ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন দলীয় ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ।
পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই। ব্যক্তিগত ২ রানে ট্রিন্ট বোল্টের বলে মিচেল স্যাটনারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় আফগানরা। ব্যক্তিগত ৬ রানে টিম সাউদির করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর গুলবাদিন নায়েব ফেরেন ১৫ রানে।
চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের একাই হাল ধরেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। কিছুক্ষণ তার সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। ২০ বলে ১৪ রান করে আউট হন নবি।
এদিকে আপনতালে ব্যাট করতে থাকা নাজিবুল্লাহ জাদরান তুলেন নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৭৩ রানের ক্যামিও ইনিংস। মাত্র ৪৮ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ৬টি এবং ৩টি ছয়ে সাজানো। এছাড়া ২ রানে করিম জানাত এবং ৩ রানে রশিদ খান আউট হন। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন মুজিব উর রহমান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৪ রান।
মাত্র ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় নিউজিল্যান্ডের। তবে ওপেনিং জুটিতে বেশিক্ষণ ধরে খেলতে পারেনি মিচেল এবং গাপটিল। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন ড্যারি মিচেল। আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল আউট হয়েছেন২৮ রানে।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলে নেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। এ সময় দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ৬৮ রানের জুটি। ৪০ রানে উইলিয়ামসন এবং ৩৬ রানে কনওয়ে অপরাজিত থাকেন।