রাজধানীর পল্লবীতে একটি শপিংমলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে দেশে আনা শাওমি, অপ্পো, বিভোসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের তিন শতাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। এসময় সরকারকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মোবাইল বিক্রি ও চোরাই মোবাইল বিক্রির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
আজ বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ এ অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়।
র্যাব-৪ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনুমোদনবিহীন মোবাইলফোন বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর পল্লবীর একটি শপিংমলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও র্যাব-৪। অভিযানে বিভিন্ন দোকান থেকে ৩০৯টি অবৈধ/অনুমোদনবিহীন/চোরাই মোবাইলফোন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে।
জব্দকৃত মোবাইলের মধ্যে রয়েছে ভিভো ব্র্যান্ডের-৩৮টি, অপ্পো ব্র্যান্ডের-৬৩টি, স্যামসাং ব্র্যান্ডের ৯টি, রেডমি ব্র্যান্ডের-৩৬টি, সনি এক্সপেরিয়া ব্র্যান্ডের-২ টি, আইফোন-৩৭ টি, এইচটিসি ব্র্যান্ডের ৪টি, সিম্ফোনি ব্র্যান্ডের ১ টি, এলজি ব্র্যান্ডের ৩টি, নোকিয়া ব্র্যান্ডের ২টি, রিয়েলমি ব্র্যান্ডের ৭টি, পোকো ব্র্যান্ডের ১টি, নর্জো ব্র্যান্ডের ১টিসহ সর্বমোট ৩০৯টি অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাহমুদুল হাসান মাসুদ (২৮), ঢাকার মো জিসান (২৫), মোঃ রায়হান (২৩), মোঃ রকি (১৯), মোঃ হাসিবুল ইসলাম (২১), চাঁদপুর জেলার বিপ্লব হোসেন (৩২) ও রাঙামাটি জেলার মোঃ রাসেল (২৮)।
অভিযান চলাকালীন সময়ে বিটিআরসির প্রতিনিধি দল তাদের নিজস্ব সফটওয়ায়ের মাধ্যমে আইএমইআই নম্বর যাচাই করে ৩০৯টি মোবাইল ফোনকে অনিবন্ধিত ঘোষণা করে। পরে র্যাব ফোনগুলো জব্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে তারা গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে এসব ফোন দেশে নিয়ে আসতেন। পরে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে তা বিক্রি করতেন।
বিটিআরসি বলছে, এ ধরনের অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপরাধ করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহজে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারে না। তাই মোবাইল কেনার সময় তা ভালোভাবে যাচাই করে কিনতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি এ সংস্থাটি।