গ্লাসগো সম্মেলন থেকে তিন শতাধিক করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কপ২৬ সম্মেলন
কপ২৬ সম্মেলন। ছবি : ইন্টারনেট

জি২০ সম্মেলনের পর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন দুই শতাধিক দেশের প্রতিনিধি।

সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী ও বিশেষজ্ঞেরা। এর ফলে এ পর্যন্ত গ্লাসগোফেরত তিন শতাধিক অংশগ্রহণকারীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। খবর ডেইলি মেইলের।

universel cardiac hospital

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিয়ন জানিয়েছেন, সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইউরোপ এ মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে আছে।

সম্প্রতি এক দিনে ২০ লাখ মানুষের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ইউরোপে। এর মধ্যে গ্লাসগো থেকে সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সন্ত্রস্ত স্কটল্যান্ডের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞেরা। অস্বস্তিতে প্রশাসন।

নিকোলা জানিয়েছেন, সংক্রমণ যাতে আরও না বাড়ে, তাই কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। গ্লাসগো সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রত্যেককের (সাধারণ কর্মী থেকে বিশেষজ্ঞ) করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সম্মেলন শুরুর আগেও সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ দেখেই যোগদানে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল সম্মেলনে। ২ সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনে নিয়মিত সাফাই-পর্বও চলেছে। তার পরেও এই সংক্রমণ!

পাবলিক হেল্থ স্কটল্যান্ড (পিএইচএস) জানিয়েছে, সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ‘ল্যাটেরাল ফ্লো ডিভাইস’ বা এলএফডি-র সাহায্যে।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পিসিআর-টেস্টের থেকে হয়তো এটির সংক্রমণ ধরার ক্ষমতা কম। হয়তো উপসর্গহীন বা সদ্য সংক্রমিতদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি টের পায়নি এই পরীক্ষাটি। তাতেই এই কাণ্ড।

স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, সিওপি২৬-এ যোগ দেওয়া প্রতি হাজার জনের মধ্যে চার জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এটা শুধু সম্মেলনের ছবি।

এটা বাদ দিয়ে গ্লাসগো সম্মেলন চলাকালীন একাধিক বিক্ষোভ, জমায়েত হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে। সেখানেও বহু মানুষ ভিড় করেছেন। পিএইচএস এর বক্তব্য, পরিস্থিতি আরও খতিয়ে দেখা দরকার। ডিসেম্বরের শেষে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হবে।

শেয়ার করুন