জাদুঘরের রাখা নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন কেউ ধ্বংস বা ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর অস্থাবর নিদর্শন চুরি, পাচার, ধ্বংস, নষ্ট, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
এছাড়া কেউ জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর খোদাই করলে বা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল ২০২১’ উত্থাপন করলে তা ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি উত্থাপন করেন। ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ নতুন করে আইন করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে জাদুঘরের কিউরেটর পদ ছিল না। নতুন খসড়ায় সহকারী কিউরেটর পদেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। জাদুঘরের পরিচালনার সংস্কৃতিমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাদুঘরের মহাপরিচালক সরকার নিয়োগ করবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করার বিধানও রাখা হয়ছে।
বিলে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহগর ছাড়া যে কোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, গবেষণা কেন্দ্র, মহাফেজখানা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।