একটু অসু্খ হলেই খালেদাকে বিদেশে কেন নিতে হবে: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর যে দাবি বিএনপি করছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এভাবে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবি তোলার মাধ্যমে দেশের চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোর প্রতি অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে শঙ্করমঠ ও মিশনের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।

‘বেগম জিয়ার একটু অসুখ হলেই বিদেশ কেন নিয়ে যেতে হবে’ এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোটি কোটি মানুষের চিকিৎসা হয়, দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ভালো হাসপাতাল আছে, যেখানে অনেক ভালো চিকিৎসা হয় এবং অন্য দেশ থেকেও অনেকে এখানে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে আসে। বেগম খালেদা জিয়ার পেটে-হাঁটুতে বা অন্য কোনো সমস্যা হলেই বিদেশ নিয়ে যাবার জন্য তারা জিকির তোলেন কেন সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। এভাবে বিদেশ নিয়ে যাবার ধোঁয়া তোলার মাধ্যমে তারা আমাদের চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলোকে অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন।

‘সরকার চাইলে বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নিতে পারবেন’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নিজেরা কোনো আইন-আদালত মানে না, সেই কারণেই তারা লাগামহীন ও দায়িত্বহীন কথা বলতে পারে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে হচ্ছে আইন-আদালত কোনো কিছুরই দরকার নেই, সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পারে। তাহলে সরকারকে জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাও পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, আইনানুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের রচনা করার জন্য। আজকে যারা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, ধর্মীয় বিভাজন করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তারা শুধু সমাজের শত্রু নয়, রাষ্ট্রের শত্রু। কারণ এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার এই রাষ্ট্র সবার, সবাই সবার আনন্দ উৎসবে শামিল হন, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। এই চেতনাই আবহমান বাঙালি, বাংলা এবং বাংলাদেশ ধারণ করে। তাই ছোটখাট বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধনে কখনো বিভেদ তৈরি করতে পারেনি এবং পারবে না।

শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ পরমানন্দ মহারাজ।

শেয়ার করুন