পরিবহন নেতা খন্দকার এনা‌য়েত উল্লাহর সম্পদের খোঁজে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবহণ নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
পরিবহণ নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। ফাইল ছবি

ঢাকা সড়ক পরিবহন মা‌লিক স‌মি‌তির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনা‌য়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চেয়ে ৫৮ ব্যাংকসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খন্দকার এনা‌য়েত উল্লাহ ঢাকা সড়ক পরিবহন মা‌লিক স‌মি‌তির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

universel cardiac hospital

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি ব্যাংক, ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, নিবন্ধন অধিদপ্তর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাক বিভাগ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ পাঁচ সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজার পৌরসভা এবং জাতীয় গৃহায়ণ অধিদপ্তরসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুদক। এসকল প্রতিষ্ঠানের কাছে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ের নামে থাকা হিসাব বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়েছে দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠানটি।

গত ২৫ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল চিঠিগুলো পাঠিয়েছেন।

এই পরিবহন নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ আশপাশের সড়কে চলাচলকারী বাস থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় চলতি বছরের ১৪ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে এনায়েত উল্লাহকে নোটিশ পাঠায় দুদক। চলতি বছরের অক্টোবরে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হওলাদারের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেন খন্দকার এনায়েত। দাখিলকৃত সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাইয়ে উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়সালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের শুরুতে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক নুরুল হুদা।

শেয়ার করুন