ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ‘এসো, উড়িয়ে নিশান সুবর্ণজয়ের’ শ্লোগানকে সামনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ শ্লোগানের সমালোচনা করে এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘এটাতে পাকিস্তান, পাকিস্তান গন্ধ পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কখনো উড়িয়ে নিশান কথাটি বলে না। মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় পতাকার কথা বলে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানকে নন্দিত করে বা প্রশংসা করে কবি গোলাম মোস্তফা তার একটি কবিতায় নিশান শব্দটি বার বার ব্যবহার করেছেন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমার ঘৃণা হয়, যখন দেখি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উঠানো হয় না, জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এর চেয়ে কষ্টের কথা আর হয় না। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ না রাখতে মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ গ্রহণ করান।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা এমপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাত উঁচিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। আলোচনা সভা শেষে দেশের গান পরিবেশিত হয়।