প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে বিচারক ও আইনজীবী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিচারক একা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। বিচারের সব পর্যায়ে আদালতের আইনজীবীদের সহায়তার প্রয়োজন হয়।
আজ শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবভন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবর্তন ও বিকাশের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই বিচারক ও আইনজীবী উভয়কেই তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি বিশ্বনন্দিত সংবিধান উপহার দিয়েছেন। এই সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে বিধৃত রয়েছে। রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন এবং বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম যেদিন উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল (১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর) সেদিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে।