ঋণ খেলাপির দায়ে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। একই সাথে অন্য আরোও তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা নির্বাচন অফিস।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এ বিষয়ে খান আহমেদ শুভ জানান, তিনি ঋণ গ্রহণ করেননি। অন্য একজনের ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন। গত কয়েক দিন আগে সেই ঋণ ওই লোকে পরিশোধ করেছে। তবে ঋণ পরিশোধের কাগজ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি আপিল করবেন।
এই উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
আগামী ১৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন। বাতিল হওয়া অন্য তিন প্রার্থীরা হলেন- বৈরাবরী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়া। এর মধ্যে বেরাবরী পার্টির নিবন্ধন না থাকা এবং স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী না থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বৈধ তিন প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির সদস্য রুপা রায় চৌধুরী।
উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ১৬ নভেম্বর মির্জাপুর আসনের চারবারের নির্বাচিত সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন করণীয় নেই। তবে মনোনয়নপত্র বাতিলের খবরে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।