দেশকে আরও এগিয়ে নিতে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তির চূড়ান্ত পতন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি। বিএনপি-জামায়াত যদি গত ৫০ বছর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে নেতিবাচক, প্রতিহিংসাপরায়ণ, পেট্রলবোমা আর সন্ত্রাসী অপরাজনীতি ষড়যন্ত্র না করতো, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার না চালাতো, তাহলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেতো।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর-ডিএফপি আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫০ বছর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘শুধু আজ নয়, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক’ এমন মন্তব্য করে ড. হাছান বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে আর কোনো মানুষ খুঁজে পাননি, সেই শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের উপপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানে কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না, কোনো গণহত্যা হচ্ছে না, সেখানে ভারতীয় কিছু চর গণ্ডগোল করছে মাত্র।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছিলেন, বেগম জিয়ার সময় গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। যারা এ দেশটাই চায়নি, যারা চাঁদ-তারা পতাকার পক্ষে এদেশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেই মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদদের খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নিবিড় সম্পর্কে যুক্ত। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ধারণকারী ও দেশের সংবিধানের প্রথম হস্তলিপিকার এই অধিদপ্তরেরই চাকুরে ছিলেন এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে এই অধিদপ্তরেই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কার্যালয়।