করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ বাড়তে পারে বলে বুধবার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা, এনডিটিভি।
গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে সংক্রমণের হার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চীন থেকে জার্মানি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোকে ভাইরাসবিরোধী কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে বাধ্য হচ্ছে অপরদিকে অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়েও তাদের একই সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। দুদিকেই ভারসাম্য রাখাটা বিভিন্ন দেশের সরকারের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন দেশে বর্তমানে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে ওমিক্রনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের অনেক দেশেই ডেল্টাকে ছাড়িয়ে গেছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের সাপ্তাহিক মহামারি সংক্রান্ত আপডেটে এসব তথ্য জানিয়েছে।
নেদারল্যান্ডস এবং সুইজারল্যান্ডে ওমিক্রন শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হয়েছে। তবে কিছু গবেষণা বলছে, এতে মৃদু লক্ষণ দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের সাপ্তাহিক মহামারি সংক্রান্ত আপডেটে জানিয়েছে, নতুন ধরন ওমিক্রন এখনও ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’। বেশ কিছু গবেষণা থেকে এটা প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ডেনমার্কের প্রাথমিক তথ্য থেকে দেখা গেছে ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বেশি। তবে এসব দেশে সম্প্রতি ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা গুরুতর তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
তবে এসব গবেষণার পরেও ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে প্রচুর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে যারা টিকা নেননি তাদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি হতে পারে এবং এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাতে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
এই মহামারিতে ইউরোপ আবারও করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার ফ্রান্স, ব্রিটেন, গ্রিস এবং পর্তুগালে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।