নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি আজকে আইভীকে মোবারকবাদ জানাই। তার সাথে আমার যে সম্পর্ক এটা আধ্যাত্মিক ও আন্তরিক। আমি যেখানেই থাকি আলী আহমদ চুনকার জন্য দোয়া করি। যখনই হাত তুলি তখনই তার জন্য দোয়া করি।
সোমবার বিকেলে তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় যান নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় তৈমূরের পা ছুঁয়ে দোয়া নেন আইভী।
এ সময় তৈমূর বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে তার হাত ধরেই বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আমার রাজনীতিতে উত্থান। চুনকা ভাই আমার মাকে মা বলতেন, আমি তাকে ভাই বলতাম। তার মেয়ের পেছনে আমি আছি। যে কোনো জায়গায় সে থাকুক তার যে কোনো বিপদ আপদে অদৃশ্য শক্তির মতো তার মাথায় আমার হাত আছে। আগামী দিন যেন সুন্দর হয়, তার পাশে আমি ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। অন্যকোনো কথাবার্তা কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি এটা অন্তরের সম্পর্ক। আমার শ্রদ্ধাবোধ চুনকা ভাইয়ের জন্য আজীবন থাকবে।
‘কাকার সঙ্গে সম্পর্কে কখনও ঘাটতি হবে না’
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, তৈমূর কাকা যেটা বলল আমাদের এটা পারিবারিক সম্পর্ক। আমি পুরো নির্বাচনজুড়েই বলেছি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি আর পারিবারিক সম্পর্কের জায়গায় পারিবারিক সম্পর্ক। এ সম্পর্কে কখনও ঘাটতি হবে না। আমিও জানি আমার তরফ থেকে এটা নষ্ট হবে না। কাকাও এটা জানে।
আইভী বলেন, আমি ভবিষ্যতেও বিভিন্ন কাজে তার পরামর্শ নেব, কাকা অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। আমি যখন পৌরসভায় নির্বাচিত হয়ে আসলাম তখন তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। হীরালাল খাল-বোয়ালিয়া খালের জন্য তিনি অনেক সাহায্য করেছেন। মুসলিম একাডেমির জায়গার কথা কাকা বলেছেন আমি দিয়েছি। তিনিও আমার একটা স্কুল করার জন্য সহযোগিতা করেছেন। আমরা সবাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ।
তিনি আরও বলেন, যে যেই দল করি না কেন নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে দলের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা আমাদের উচিত এবং আমরা সকলেই করবো। যে পরামর্শ কাকা দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়নে চেষ্টা করবো। শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে আপনারাও আমার সহযোগিতা করবেন এই আশা ব্যক্ত করছি। কাকির সাথে আমার সবসময় কথা হয়। কাকা ব্যস্ত থাকলেও কাকির সাথে সবসময় ফোনে কথা হয়। দাদি আমাকে অসম্ভব মায়া করতেন। আমি আগে কবরস্থানে গেলেইএখান দিয়ে যাওয়ার সময় দাদির সাথে দেখা করে যেতাম।
আইভী বলেন, কাকার ছোটভাই খোরশেদ আমারই কাউন্সিলর। আমরা সবসময় সহযোগিতার সাথে কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করবো।
পরে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন তৈমূর ও আইভী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তৈমূরের স্ত্রী ফারজানা খন্দকার, কন্যা মার-ই-য়াম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।