দেশজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু, শনাক্ত এবং শনাক্তের হার সবই বেড়েছে। গত একদিনে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে। এই সময়ে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০.৮৮ শতাংশে। আর গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনের। আর মোট শনাক্তের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭।
আজ সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, ছয়জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সংক্রমনের এই ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ঢাকায় করোনা শনাক্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন ধরন
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকায় কিছু জরিপ করেছি। সেই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকাতে করোনা শনাক্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন ধরন। সেটা আগে ১৩ শতাংশে ছিল। ১০ দিনের জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপটি শুধু ঢাকায় করা হয়েছে। আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরেও একই হার হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর থেকে মাঝখানে দুই দিন কেটেছে মৃত্যুহীন। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।
গত জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত চরম আকার ধারণ করলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। সরকার ইতিমধ্যে ওমিক্রন ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। তবে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।