শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বহিরাগতদের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনেক বহিরাগত এসে যুক্ত হয়েছে। তারা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দিচ্ছে। আমাদের কাছে আজকে যে তথ্য এসেছে সে অনুযায়ী এ কথা বলছি। রাতেও অনেক বহিরাগত এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। এরা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া পুরো ব্যাপারে ইন্ধন দিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
আজ সোমবার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশকে ব্যাহত করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে। দেশের মধ্যে একটি অন্যতম শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় এটি। (শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় সবার ওপরে রয়েছে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কার্যক্রম মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, হল প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। এরপরও তাদের আন্দোলনের কারণে এখন শিক্ষা ও গবেষণার কাজ যেভাবে চলছিল তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছি। সবকিছু স্বাভাবিক হলে আবার খুলে দেবো।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং ভালো। খুব স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করছে। শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি। তোমরাও আমাদের সহযোগিতা করো। যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার কাজগুলো সুন্দরভাবে এগিয়ে নিতে পারি। তোমরা এ ধরনের কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিও না। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে তোমরা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।