দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে। কারণ তারা জানেন, তাদের অফিসের কোথায় দুর্নীতি হয় বা হওয়ার সুযোগ আছে। মাঠ পর্যায়ে তাদের জানাশোনা থাকে।’
আজ বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, শুধু নিজের অফিস নয়, জেলার কোন কোন জায়গায় দুর্নীতি হয় এবং তাতে কোন কর্মকর্তারা যুক্ত থাকেন, সেটাও জেলা প্রশাসকদের জানার সুযোগ আছে। যে কারণে প্রথমেই আমরা তাদের অনুরোধ করেছি দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন জিরো টলারেন্স নীতিতে চলতে।
জেলা প্রশাসকরা জনবল বাড়ানোর কথা বলেছেন— এ নিয়ে দুদক কী ভাবছে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ১৮টি জেলায় দুদকের অফিস নেই। এসব জেলায় জনবল ও বেতন-ভাতা দিয়ে অফিস স্থাপন করাটা যৌক্তিক হবে কিনা সেটা যাচাই করে দেখছি।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, দুদকের আইনজীবী প্যানেলের অনেকেই মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকেন না। আবার ওই প্যানেলে রাজনৈতিক প্রভাবে কিছু আইনজীবী ঢুকে পড়েন বলেও অভিযোগ আছে। এ প্রসঙ্গে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ অভিযোগ সঠিক নয়। দুদকের আইনজীবী প্যানেল গঠনে আমরা কোনও পক্ষপাতিত্ব করি না। যে আইনজীবীরা দক্ষ ও সৎ তাদেরকেই প্যানেলে নিয়োগ দিই। দুয়েকজন অসুস্থ বা কোনও কারণে অনুপস্থিত থাকতেই পারেন। ফলাও করে অনুপস্থিতির বিষয়ে যা প্রচার হয়, সেটার কোনও ভিত্তি নেই।’