শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

গ্রেফতার শাবিপ্রবির সাবেক দুই শিক্ষার্থী। ছবি : সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য-বিরোধী আন্দোলনে অর্থের জোগান ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আটক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাতে নগরীর জালালাবাদ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলা নং- ১১।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বলেন, আটকদের কিছুক্ষণ আগে রিসিভ করা হয়েছে। আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানার নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।

এর মধ্যে হাবিবুর শাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।

এর আগে গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সিআইডির একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে।

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।

এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৩ জন শিক্ষার্থী। ২৩ জানুয়ারি বিকেলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন আরও চার শিক্ষার্থী। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন