শরীরের তাপমাত্রা কমে ভূমধ্যসাগরে নৌকায় সাত বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসালদের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং যথাযথ করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানাোন হয়েছে।
জানা গেছে, দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি-ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনার পরদিনই ২৬ জানুয়ারি লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠাণ্ডায় থাকার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয় যারা বাংলাদেশের নাগরিক বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়। কাউন্সেলর হক ২৭ জানুয়ারি লাম্পেডুসার ডেপুটি মেয়র প্রেস্টিপিনো সালভাতোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে মেয়র শহরের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি।
সাক্ষাতকালে তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করণীয় কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন এবং ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূতাবাসের নিবিড় সমন্বয়ের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে পাঠানোর আগ পর্যন্ত সিসিলি প্রদেশের অ্যাগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি লাম্পেডুসা দ্বীপে যাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠাণ্ডায় ৭ বাংলাদেশি নাগরিক মারা যান।