বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখের মতো তার সম্মাননা পাওয়ার তারিখও ঠিক নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাছান মাহমুদ এই মন্তব্য করেন।
এর আগে বিআইসিসি হলে আহবাবুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২১ এর গ্রান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
সম্প্রতি কানাডার একটি সংস্থা থেকে খালেদা জিয়ার সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার জন্মের তারিখ যেমন ঠিক নেই, পুরস্কারের তারিখও ঠিক নেই, পুরস্কারদাতাদের ওয়েবসাইটেও তার নাম নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার জন্ম তারিখ পাঁচটা, বিবাহ রেজিস্টারে একটা, পাসপোর্টে একটা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রেডেনশিয়ালসে একটা, ম্যাট্রিকুলেশনে যেটাতে তিনি ফেল করেছেন সেখানে একটা, আবার কোভিড সনদে একটা। আবার তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই, আর জানা গেল ২০২২ সালে। আর যে সংস্থা থেকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটে আবার তার নাম নেই।
ইসি গঠনে সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির উন্মেষটাই তো ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আর মানুষের লাশের ওপর দিয়ে। তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মধ্যেই থাকেন বলে সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পান।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে এত স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় না। বরং অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলির ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকে না। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো ভালো করেই জানেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন বলেই এসব কথা বলছেন। তাদের ‘না’ বলা বাতিক নিয়ে আমি শংকিত।