র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এ বাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটিতে আইনজীবী নিয়োগ করবে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে পিআর ফার্ম, লবিস্ট ও আইনজীবী নিয়োগের বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত এবং নাহিম রাজ্জাক অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি- সেখানে আমাদের দূতাবাস আগে থেকে কেন বিষয়টি জানতে পারেনি? তারা তাদের মতো ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নাকি কিছুটা গ্যাপ তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, র্যাব ও এ বাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাস গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।
এছাড়া কার্যপত্রে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শ্রম আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে বলে প্রতীয়মান হয়। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বাতিল করার পরে বাংলাদেশ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পুনরায় সে সুবিধা চালু করেনি।
এতে আরও বলা হয়, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে কোনো দ্বিপাক্ষিক সফর হয়নি। তবে এ বছর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে উচ্চপর্যায়ের সফর আয়োজনের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা সহজ করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা উইং খোলার সুপারিশ করা হয়।