‘বিএনপি সার্চ কমিটি নিয়ে পিছনে বসে জনমনে সন্দেহের দানা সৃষ্টি করছে। দলটি জনগণের পালস জানে না। তারা জনগণের কাছে আস্থা অর্জন করতে পারবে না’-বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কামরাঙ্গিরচর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ৫৫, ৫৬ ও ৫৭নং ওয়ার্ডের আয়োজনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের পছন্দ মতো নির্বাচন কমিশন হবে না, তবে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটি আমাদের উপহার দেবে। সেই নির্বাচন কমিশন আগামী দিনে যথা সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এর ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি মৃত ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে বিএনপি হত্যা করেছে। ওই ফাঁদে বাংলাদেশ আর পা দেবে না।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্চ কমিটি বসেছে। ৩ শতাধিক নামের তালিকা তাদের কাছে জমা হয়েছে। সংবিধান তাদের যে ক্ষমতা ও দায়িত্ব দিয়েছে সে অনুযায়ী তারা রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নামের তালিকা জমা দেবেন। অনেকে অনেক কথা বলেন, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বিএনপির সুরেই কথা বলেন।
বিএনপি এবং বদিউল আলম মজুমদারের কথার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। বলেছেন, ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কেন! এটা কি সার্চ কমিটির কার্যতালিকার মধ্যে পড়ে? পড়ে না। ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন, তিনি সেখান থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, যোগ করেন কামরুল ইসলাম।