বাংলাদেশ-ভারতের অর্থনৈতিক সংযোগ সহজতর করার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারত
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সংযোগ এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার তাগিদ দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। এজন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার ভারতের সিমলায় ১০তম ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শ্রিংলা এই কথা বলেন।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা রয়েছেন।

বাংলাদেশে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ এখন অন্যান্য নদ-নদীর জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে এবং নদীর বাঁধের ক্ষেত্রে ও নদীর লবণাক্ততা মোকাবেলায় সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদী রয়েছে যা আমাদের সম্পদ এবং দায়িত্বের অংশ। গঙ্গার পানি বণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ় আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ নয়, বরং সমানভাবে এ অঞ্চল ও তার বাইরের স্বার্থ রক্ষা করছে। শ্রিংলা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপন করেন।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা নিশ্চিতের পাশাপাশি পণ্য ও মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে সীমান্ত অবকাঠামো শক্তিশালী করতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে দ্বিমুখী বাণিজ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো এ বছর বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কানেক্টিভিটি ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ তাদের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের মাধ্যমে সংযোগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।

শ্রিংলা বলেন, ভারত বিমসটেক ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গতি সঞ্চার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন এবং সংযোগ বৃদ্ধির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। আমরা পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের অপেক্ষায় রয়েছি।

শেয়ার করুন