টানা কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বৃষ্টির মতো।
আক্রমণের প্রথম দিনেই দেশটিতে নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক মানুষও রয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার হামলার প্রথম দিনে সেনা ও সাধারণ মানুষসহ ইউক্রেনে ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা আমাদের ১৩৭ জন বীর নাগরিককে হারিয়েছি। নিহতদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং বেসামরিক মানুষও রয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ার হামলায় আরও ৩১৬ জন ইউক্রেনীয় আহত হয়েছেন।’
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দিকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তারা মানুষকে হত্যা করছে এবং শান্তিপূর্ণ শহরগুলোকে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এটা লজ্জাজনক এবং কখনোই ক্ষমা করা হবে না।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। বৃহস্পতিবার এই শহরের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙেছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে। বন্দুকের আওয়াজ, সাইরেনের শব্দ আর বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় শহরের বাইরের প্রধান মহাসড়কটি যানজটে শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার মুখে প্রায় এক লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোমানিয়া ও মলদোভাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।