রাজধানী কিয়েভের সামরিকঘাঁটিতে রুশ সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের সহায়তায় গোলাবারুদসহ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে পোল্যান্ড। এবার যুদ্ধবিরোধী জোটের সদস্য থেকেও অস্ত্র ও সরঞ্জাম সহায়তা আসছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ বিষয়ে একটি টুইট করেন জেলেনস্কি।
তিনি লিখেছেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে কূটনৈতিক ফ্রন্টলাইনে একটি নতুন দিন শুরু হয়েছিল। আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম এখন ইউক্রেনের পথে রয়েছে। যুদ্ধবিরোধী জোট কাজ করছে।’
জানা গেছে, সামরিক জোট ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে রোমানিয়ায় ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ফ্রান্স। তবে, সরঞ্জামগুলো কী হবে তা বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার দেশটির দুটি আইনি সংস্থার কাছে এ লিখিত বক্তব্য পাঠান।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ লেখেন, ইউক্রেনকে ‘৩০০ মিলিয়ন ইউরোর অতিরিক্ত বাজেট সহায়তা’ দেবে ফ্রান্স এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক উপাদান সরবরাহ করা হবে ফ্রান্স থেকে।
সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্রান্স এর আগে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি। তবে মানবিক সহায়তা এবং বাজেট সহায়তা দিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশটিতে সামরিক সহায়তার প্রথম প্রকাশ্যে চালান পাঠিয়েছে পোল্যান্ড।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিওস ব্লাকজ্যাক এক টুইটবার্তায় বলেন, আমরা ইউক্রেনকে গোলাবারুদসহ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের দেওয়া সব সরঞ্জাম ইউক্রেন সেনাদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশ করছি।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, কানাডা, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে রুশ হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। ইউক্রেনে সেনা অভিযানের জবাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।